ধারণা করা হয় যে, আনারকলি কোনো এক বণিক বহরের সাথে ইরান থেকে পাঞ্জাব অঞ্চলের লাহোরে (বর্তমান পাকিস্তান) অভিবাসিত হয়েছিলেন।[৭] কিংবদন্তি মতে, আনারকলিকে মুঘল আমলে শাহজাদা সেলিমের সাথে যিনি পরবর্তীতে (সম্রাট জাহাঙ্গীর) হয়েছিলেন অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের অপরাধে মোগল সম্রাট আকবরের নির্দেশে দুটি ইটের দালানের মধ্যখানে জীবন্ত কবরস্থ করা হয়েছিল। তবে কোনো বিশেষ প্রমাণ বা তথ্যসূত্র না থাকায় এবং আনারকলির কোনো সমাধির সন্ধান না পাওয়াতে এই ঘটনা অধিকাংশের নিকট মিথ্যা প্রতীয়মান হয়। আনারকলির উপাখ্যান আকবরনামা অথবা তুজক-ই-জাহাঙ্গীরীর কোথাও উল্লেখিত হয়নি। আনারকলির সম্বন্ধে প্রথম জানা যায় ইংরেজ পর্যটক ও বণিক উইলিয়াম ফিঞ্চের সাময়িকী থেকে, যিনি আগস্ট ২৪, ১৬০৮ সালে ভারত ভ্রমণ করেছিলেন।[৮][৯]
প্রথম সার্থক আনারকলি গল্প লেখেন ভারতীয় লেখক আব্দুল হালিম শারার, যিনি তাঁর বইয়ের প্রথম পাতায় পরিষ্কারভাবে একে কথাসাহিত্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর গল্পই পরবর্তিতে সাহিত্যে, চিত্রকলায় ও চলচ্চিত্রে বিভিন্ন সময় অভিযোজিত হয়েছে।