Sale!

দার্জিলিং কমলা

Original price was: ৳ 400.00.Current price is: ৳ 300.00.

দার্জিলিং (নেপালিदार्जिलिङ দার্জিলিঙ) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সবচেয়ে উত্তর অঞ্চলের একটি শহর। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৭০৯ ফু (২,০৪৪.৯ মি) উচ্চতায় পূর্ব হিমালয়ের শিবালিক পর্বতশ্রেণিতে অবস্থিত।[১১] দার্জিলিংয়ের পশ্চিমাংশে নেপালের কোশি প্রদেশ, পূর্বে ভুটান, উত্তরে ভারতের সিকিম রাজ্য এবং আরও উত্তরে চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল অবস্থিত। শহরটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। শিলিগুড়ি করিডোর নামক সরু রাস্তা দিয়ে শহরটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আংশিক স্বায়ত্ত্বশাসিত জেলা দার্জিলিঙের সদর দফতর এই শহরেই অবস্থিত। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা শহরটির উত্তরে অবস্থিত এবং পরিষ্কার দিনে তা এই শহর থেকে দৃশ্যমান হয়ে থাকে।[][১৬]

উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ভারতে কোম্পানি শাসনামলে ব্রিটিশ কর্মকর্তা, সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের সম্ভাব্য গ্রীষ্মকালীন বসবাসের জন্য দার্জিলিংকে বাছাই করা হয়। এই সরু পর্বতশিরা সিকিম রাজ্য থেকে ইজারা নেওয়া হয় এবং ঘটনাচক্রে ব্রিটিশ ভারতের সাথে সংযুক্ত করা হয়। ঔপনিবেশিক প্রশাসন এই এলাকায় একটি স্যানেটোরিয়াম ও একটি সামরিক ডিপো স্থাপন করার পর এই শহরের নথিবদ্ধ ইতিহাসের সূচনা ঘটে। এরপর এই অঞ্চলে প্রচুর চা বাগান গড়ে ওঠে এবং পাহাড়ের ঢালে চা উৎপাদন নিয়ে নিরীক্ষা অত্যন্ত সফল হয়। চা উৎপাদকেরা কালো চায়ের সংকর উৎপাদন করতে শুরু করেন এবং নতুন ধরনের গাঁজন প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনা করেন। এর ফলে যে বিশেষ দার্জিলিং চায়ের উদ্ভব ঘটে, তা আন্তার্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি লাভ করে এবং বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় কালো চাগুলির মধ্যে অন্যতম আসন গ্রহণ করে।[১৭] বন পরিষ্কার করতে, ইউরোপীয় পদ্ধতিতে কুটির বানাতে এবং চা চাষ করতে নেপাল থেকে হাজার হাজার শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ব্যাপকহারে বন উজাড়ের ফলে এখানের আদিবাসীরা বাস্তুচ্যুত হয়। ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী ব্রিটিশদের বাচ্চাদের জন্য দার্জিলিংয়ে ও এর আশেপাশে আবাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে একটি অভূতপূর্ব সরু-গেজ পার্বত্য রেলওয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল গ্রীষ্মকালীন বসবাসকারীদের এখানে নিয়ে আসত এবং সারা বিশ্বে রপ্তানির জন্য চা বহন করত। ভারতের যে অল্প কয়েকটি বাষ্পচালিত ইঞ্জিন এখনও কার্যকরী, তার মধ্যে কয়েকটি এই রেলের অন্তর্গত। এটি বর্তমানে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর ব্রিটিশরা দার্জিলিং ত্যাগ করলে সমতলের ধনাঢ্য ভারতীয়রা কুটিরগুলো এবং শহরের বাইরের ভারতীয় ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ীগোষ্ঠী চা বাগানগুলো ক্রয় করে।

দার্জিলিং শহরে ব্রিটিশ-ধাঁচের একাধিক পাবলিক স্কুল রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং কয়েকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসে। লেপচাখাম্বাগোর্খানেওয়ারশেরপাভুটিয়াবাঙালি ও ভারতের অন্যান্য জাতি ও ভাষাগোষ্ঠীর সমাবেশ দার্জিলিঙের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে দার্জিলিং এবং পার্শ্ববর্তী জেলার সদর কালিম্পং ছিল গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল।

Shopping Cart
Scroll to Top